ছেলের হত‍্যার প্রতিশোধ নিতে চান মা : আবেগরুদ্ধ গোটা এলাকা

10th March 2021 8:52 am বাঁকুড়া
ছেলের হত‍্যার প্রতিশোধ নিতে চান মা : আবেগরুদ্ধ গোটা এলাকা


দেবব্রত মন্ডল ( বাঁকুড়া ) : "আমার ছেলের হত্যার প্রতিশোধ আমি নেবই", কোতুলপুরের চোরকলা গ্রামে বামপন্থীদের উদ্দগে মইদুলের স্মরণ সভা থেকে বার্তা মইদুলের মায়ের ! গত ১১ ই ফেব্রুয়ারি বাম যুবদের ডাকা নবান্ন অভিযানে গিয়ে পুলিশের লাঠির আঘাতে গুরুতর জখম হন যুব সংগঠনের কর্মী মইদুল ইসলাম মিদ‍্যা । চিকিৎসকরা আপ্রাণ চেষ্টা করলেও বাঁচানো যায় নি যুব কর্মীকে । ঘটনায় নিন্দার ঝড় ওঠে সবমহলে । মমতা বন্দ‍্যোপাধ‍্যায় নিজে পুলিশ মন্ত্রী , তাঁর ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন তুলে রাজ‍্য জুড়ে আন্দোলনে নামে বাম সংগঠনগুলি । পরিস্থিতি সামাল দিতে তড়িঘড়ি রাজ‍্য সরকার মৃত যুবকের স্ত্রীকে হোম গার্ডে চাকুরীতে নিয়োগপত্র দেয় । কিন্তু তারপরে ময়নাতদন্তের যে রিপোর্ট প্রকাশ হয় তাতে দেখা যাচ্ছে সেখানে লাঠির আঘাতের কোনো উল্লেখ নেই । সম্পূর্ণ অন‍্য রিপোর্ট প্রকাশ করা হয়েছে বলে দাবী বামেদের । মমতা সরকার এর কাছ থেকে এটাই স্বাভাবিক বলে ক্ষোভ উগড়ে দিয়েছেন সংগঠনের নেতৃবৃন্দ । লড়াই চলবে ম ইদুল এর পরিবারের সকলকে নিয়েই বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তারা । এদিন নবান্ন অভিযানে মৃত বাম যুবক মইদুলের মৃত্যুর প্রসঙ্গে সরকারকে খুনি আখ্যা দিলেন মহম্মদ সেলিম ।পাশাপাশি এদিনের সভা থেকে সিপিএম নেতা মহম্মদ সেলিম গতকাল রাতে অগ্নিকান্ডে দমকল ও পুলিশ কর্মীর মৃত্যু প্রসঙ্গে বলেন, টাকা নিয়ে অপ্রশিক্ষিত প্রার্থীদের চাকরি দিলে এমনই দুর্ঘটনা ঘটবে। উল্লেখ্য, চারকলা গ্রামে এদিনের সিপিএমের ধিক্কার সভা থেকে নবান্ন অভিযানে পুলিশের আঘাতে মৃত মইদুল ইসলামের মা প্রতিশোধ নেয়ার কথা বলেন। সাংবাদিক দের মুখোমুখি হয়ে মহম্মদ সেলিম বলেন পুলিশ এখন কালীঘাটের ময়না। সত্য কথা কয়না', বাম ছাত্র যুব সংগঠনের নবান্ন চলো কর্মসূচীতে গিয়ে মৃত মইদুল ইসলাম মিদ্যার গ্রাম বাঁকুড়ার কোতুলপুরের চোরকোলা গ্রামে এক সভা থেকে একথা বলেন সিপিআইএম পলিটব্যুরোর সদস্য মহঃ সেলিম। 





Others News

মল্লরাজ ভূমিতে তোপধ্বনিতে অষ্টমীর সন্ধিক্ষণ : পুজো ঘিরে উন্মাদনা

মল্লরাজ ভূমিতে তোপধ্বনিতে অষ্টমীর সন্ধিক্ষণ : পুজো ঘিরে উন্মাদনা


দেবব্রত মন্ডল ( বাঁকুড়া ) : তোপধ্বনি তে কেঁপে উঠল বিষ্ণুপুর । শুরু হল মল্ল রাজাদের ১০২৫ বছরের অষ্টমী পূজোর সন্ধিক্ষণ।

প্রাচীণ ঐতিহ্য ও পরম্পরা মেনে আজও নিষ্ঠাভরে বিষ্ণুপুর রাজ বাড়িতে দেবী দুর্গা 'মৃন্ময়ী নামে পূজিতা হন। জানা গিয়েছে, পূর্ব প্রথা মতোই প্রাচীণ রীতি মেনে মহাষ্টমীর সন্ধিক্ষণে কামান দাগার মধ্য দিয়ে বিষ্ণুপুর রাজ বাড়িতে শুরু হয়ে গেল 'বড় ঠাকরুনে'র পুজো। তবে এবার করোনা পরিস্থিতির মধ্যেও দর্শক সাধারণের উপস্থিতি ছিল বাঁধভাঙ্গা। সরকারী নিয়মকে মান্যতা দিয়ে স্বাস্থ্যবিধি মেনে শুরু হয়েছে দেবী বন্দনা। এমনকি এখানে কামান দাগার পর্বেও অন্যান্য বছরের তুলনায় এ বছরে অল্প সংখ্যক লোককে নিয়ে ঐ কাজ সম্পূর্ণ করা হয়েছে।

শুরুর সময় থেকে অষ্টমীর সন্ধিক্ষণ ঘোষণা করা হয় বড় কামানের গর্জনের শব্দে। যার আওয়াজে রাজবাড়িতে আরতি নৃত্যও শুরু হয়ে যায়।